আন্তর্জাতিক
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা শরনার্থী বিষয়ে সম্মেলন

UN Photo
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের দূর্দশা নিয়ে গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন হয়। যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও তাদের রাজনৈতিক সমর্থন আদায় করা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলগার টুর্ক বলেন,"এ সম্মেলন থেকে একটা স্পষ্ট বার্তা সবার জানা উচিত যে এই অবিচারের বিষয়টি বৈশ্বিক রাজনৈতির মূল আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এবং রোহিঙ্গাদের দূর্দশা দূর করা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এটি একটি নতুন অধ্যায় হওয়া উচিত।"
জতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন,"প্রয়োজন সত্ত্বেও আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রান সহায়তা না পৌছালে আমরা বাধ্য হই চাহিদার তুলনায় কম ত্রান সরবরাহ করতে, অথচ আমরা শিশুদের অপুষ্টিতে মারা যাওয়া রোধ করার চেষ্টা করছি।"
জতিসংঘে যুক্তরাজ্যের দূত জেমস কারিউকি বলেন,"পৃথিবীতে নানান সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা সমস্যা ভুলে যেতে দেওয়া উচিত নয়।"
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের জন্য আরো অর্থায়নের আহবান করেন। এ পর্যন্ত জতিসংঘে রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় মাত্র ৩৭% শতাংশ অর্থায়ন পেয়েছে। যুক্তরাজ্য আরো ছত্রিশ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে শরনার্থী শিবিরে বসবাসরত কোন রোহিঙ্গা সম্মেলনে নিজেদের কথা বলার জন্য উপস্থিত হতে পারে নি, কারণ তাদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি নেই। তবে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সাত বছর রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে থাকা মং সয়েদুল্লা বলেন,"আমার এই বার্তা জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতাদের জন্য। রোহিঙ্গা গণহত্যার আট বছরের বেশি সময় হলেও রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার কোথায়?"
এশিয়া প্যাসিফিক রিফুজি রাইটস নেটওয়ার্ক এর হাফসার তামিসুদ্দিন বলেন,"আমি মনে করি না যে এই সম্মেলনে কোন কার্যকরী সমাধান এসেছে। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী মনে হয়, আমরা এখনো আগের মত একই কথা বলছি—যেমন জান্তা সরকারের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা ও চলমান বিষয় গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ—যা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের জীবনের ভোগান্তি দূরীকরনের জন্য আগামী ৬ মাসের কার্যকরী পরিকল্পনা অনুপস্থিত ছিলো ।"







