রাজনীতি
জামায়াত আমিরের সঙ্গে শিল্প মালিকদের বৈঠক
শিল্প-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা রোধে সহযোগিতা কামনাশিল্প-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা রোধে সহযোগিতা কামনা

সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প মালিকরা। রোববার বসুন্ধরায় আমিরের বাসায় বৈঠক হয়। এ সময় শিল্প মালিকরা দেশের শিল্প-বাণিজ্যে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে দলটির সহযোগিতা চান।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, স্কয়ার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী প্রমুখ। আর জামায়াতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির শিল্প-বাণিজ্য শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ারুল আজিম ও চিকিৎসক খালিদুজ্জামান।
বৈঠকের বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দেশের শিল্প-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে সব রাজনৈতিক দলের অবদান আছে। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। সে বিষয়ে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) চাপে অন্তর্বর্তী সরকার শ্রম আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আনছে, যেগুলোর বিষয়ে মালিক-শ্রমিক কোনো পক্ষই একমত নয়-এ বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে শিল্প খাত কোন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে-তা তাকে জানানো হয়েছে। এনবিআর সংস্কার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, দেশের শিল্প-বাণিজ্যের সম্ভাবনা, নতুন বিনিয়োগ ও তার পরিবেশ, সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে শ্রম আইন ২০২৫ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিল্পমালিকরা দেশের শিল্পকারখানায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে জামায়াতের আমির দেশের শিল্প রক্ষা ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
জামায়াতের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনারের বৈঠক : এদিন বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহ ইউ। এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিচেল লি এবং সাউথ এশিয়ার কান্ট্রি ডাইরেক্টর তাই দায়ে আর্ন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সম্পর্কে জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অত্যন্ত আন্তরিকতা পরিবেশে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, শিল্প-বাণিজ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় সংস্কার, পিআর পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। হাইকমিশনার ডেরেক লোহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় জামায়াতে ইসলামীর ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন।







